Header Ads

পোস্ত দানার অলৌকিক' উপকারিকা সম্পর্কে জানেন?

পোস্ত দানার  অলৌকিক' উপকারিকা সম্পর্কে  জানেন? 



পোস্ত দানা এমন একটি খাবার যা যে কোনও খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিতে পারে। পোস্ত বীজ হল এক ধরনের তৈলবীজ, যাকে ইংরেজিতে পপি সিড বলে।

সকালবেলা খালি পেটে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখা পোস্ত দানা খেলে হজম প্রক্রিয়া ভাল থাকে। পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে তামা এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। পোস্ত বীজ এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে হাড় মজবুত করতে খুব সহায়ক। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটি খেলে এতে উপস্থিত ম্যাঙ্গানিজ এবং প্রোটিন কোলাজেন হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি প্রতিরোধ করে।

হার্ট ভাল রাখতে পোস্তর জুড়ি নেই। ওবেসিটি বা স্থুলতা, ভুল খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চায় অনীহা এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে বুঝতে হবে আপনার হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি কমাতে কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন প্রয়োজন। এরই সঙ্গে নিয়মিত যদি পোস্ত খাওয়া যায়, তাহলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। শুধু হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য সমস্যাই নয়, শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এই খাদ্য উপাদানটি খুবই কার্যকরী।

শুধু রসনার তৃপ্তিই নয়, নানা গুণে ভরা পোস্ত শুধু জিভের স্বাদই পূর্ণ করে না, শরীরও রাখে চাঙ্গা। কারণ পোস্ততে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং মিনারেল। 



  • পোস্ত পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী। 

ভেষজ এবং বীজ বিভিন্ন উপায়ে আমাদের স্বাস্থ্যের উপকার করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন অনেক জিনিস ব্যবহার করি, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যেমন পোস্ত  অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এতে উপস্থিত ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার আমাদের অনেক উপকার করে। আপনি যদি এখনও পোস্তর এই অলৌকিক গুণাবলী সম্পর্কে অবগত না হন তবে আমরা আপনাকে এর কিছু আশ্চর্যজনক উপকারিতা  সম্পর্কে বলব।



পোস্ত পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী

পোস্ত  বীজে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি এটি মেটাবলিজমকেও উন্নত করে। এর পাশাপাশি এটি খাবার হজমের প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে। সকালবেলা খালি পেটে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখা পোস্ত দানা খেলে হজম প্রক্রিয়া ভাল থাকে।

হাড় শক্তিশালী হয়

পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে তামা এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। পোস্ত বীজ এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে হাড় মজবুত করতে খুব সহায়ক। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটি খেলে এতে উপস্থিত ম্যাঙ্গানিজ এবং প্রোটিন কোলাজেন হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি প্রতিরোধ করে। সকালে দুধের সঙ্গে পোস্ত ভিজিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

মুখের আলসারের জন্য কার্যকর

মুখের আলসারের জন্য পোস্ত খাওয়া খুবই কার্যকরী হবে। শীতল প্রভাবের কারণে, এটি পেট ঠান্ডা রাখে, যা মুখের আলসারে আরাম দেয়। আপনিও যদি ফোসকার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে পোস্ত দানা জলে ভিজিয়ে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি এটি জিভের জ্বালাপোড়া ও ফোসকাতেও বেশ কার্যকরী।


পোস্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে

আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে পোস্ত আপনাকে তা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে। আসলে পোস্তের বীজে উপস্থিত ফাইবার পেট পরিষ্কার করতে খুবই সহায়ক। এটি খেলে আপনার পেট সঠিকভাবে পরিষ্কার হবে, যার ফলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

ব্লাড প্রেশার কমায়

ব্লাড প্রেশারের সমস্যাতেও পোস্ত খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ওলিক অ্যাসিড রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সহায়ক। এছাড়া এতে উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়ক।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

পোস্তয় থাকা প্রচুর জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

শুকনা কাশি দূর হয়

আবহাওয়া বদলের সময় শুকনা কাশি সেরে যায় পোস্ত দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবারে। এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ পোস্ত নারকেল দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শুকনা কাশি দ্রুত কমে যায়।

ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে

পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড। ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়

পোস্তয় থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ। হার্ট অ্যাটাক কমাতে রোজ ডায়েটে অল্প হলেও পোস্ত রাখা জরুরি।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়

ক্যালসিয়াম, আয়রন আর কপার থাকায় মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় পোস্ত।

অনিদ্রা দূর করে

উত্তেজনা কম করে, অনিদ্রা দূর করতে চায়ের কাপে দিন কয়েক দানা পোস্ত। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আধঘণ্টা আগে খান পোস্ত দেওয়া চা, দারুন ঘুম হবে।



No comments

Theme images by sndrk. Powered by Blogger.