আমিষ খাওয়া মহাপাপ।
আমিষ খাওয়া মহাপাপ।
ধর্মে সর্বপ্রথম স্থান দেওয়া হয়েছে অহিংসাকে, অন্যান্য দয়া, সংযম আদি সব ধর্মেরই অঙ্গ, কিন্তু অহিংসা পরম ধর্ম-'অহিংসা পরমো ধর্মঃ।" (মহাভারত, অনুশাসনপর্ব ১১৫।২৫)। ধর্মের তাৎপর্য অহিংসাতে।
ধর্মমান্যকারী সকল ব্যক্তিই অহিংসা ও ত্যাগের প্রশংসা করেন। যে ধর্ম মানুষের মনোবৃত্তিকে অহিংসা, ত্যাগ, নিবৃত্তি ও সংযমের দিকে নিয়ে যায়, সেটিই হল প্রকৃত ধর্ম। যে ধর্মে এই সকল গুণের অভাব থাকে, সেই ধর্ম পূর্ণ নয়, মাংস-ভক্ষণকারীরা অহিংসা-ধর্ম হনন করেন, ধর্ম-হননই পাপ।
কেউ যদি বলেন যে 'আমি তো নিজে পশুকে মারি না হত্যা করাই না, অন্যের দ্বারা বধ করা পশু-পক্ষীর মাংস ক্রয় করে খাই, তাহলে আমি কেন প্রাণী-হত্যার পাতক হব ?' এর উত্তর স্পষ্ট। মাংসাহারীদের জন্যই প্রাণী হিংসা করা হয়। কসাইখানা মাংসহারীদের জন্যই নির্মিত হয়েছে।
মাংসাহারীরা যদি মাংসাহার ত্যাগ করেন তাহলে প্রাণীবধ করা হবে কেন ? আর এই কথাও বুঝতে হবে যে কেবল নিজ হাতে হত্যা করলেই ঘাতক হয় না। মহর্ষি পতঞ্জলি অহিংসার প্রধানতঃ সাতাশটি ভাগের কথা বলেছেন-
যথা-'বিতর্কা হিংসাদয়ঃ কৃতকারিতানুমোদিতা লোভক্রোধমোহ পূর্বকা মৃদমধ্যাধিমাত্রা দুঃখাজ্ঞানানন্তফলা ইতি প্রতিপক্ষভাবনম্। (যোগদর্শন ২।৩৪)
অর্থাৎ হিংসা তিন প্রকারের-নিজে হিংসা করা, অপরের দ্বারা করানো এবং হিংসা সমর্থন করা। এই তিন প্রকারের হিংসা লোভ, ক্রোধ ও অজ্ঞানবশতঃ হওয়ায় (৩ × ৩ = ৯) নয় প্রকারের হয়ে ওঠে এবং এই নয় প্রকারের হিংসা মৃদু, মধ্য এবং অধিকমাত্রা হওয়ায় (৯ × ৩ = ২ ৭) সাতাশ প্রকারের হয়ে ওঠে। এইভাবে মিথ্যা ভাষণ ইত্যাদির
No comments