আমিষ থেকে কী করে মুক্তি পাওয়া যায়।
আমিষ থেকে কী করে মুক্তি পাওয়া যায়।
যেসব মানুষ আমিষ বর্জন করে নিরামিষাশী হতে চান কিন্তু সামাজিক ও পারিবারিক পরিস্থিতির জন্য অথবা স্বাদের জন্য এটি ত্যাগ করতে পারেন না, আমাদের মতে তাঁদের নিম্নলিখিত উপায় অবলম্বন করা উচিত।
১) আমিষ খাদ্যের দ্বারা হওয়া ক্ষতিগুলি বারংবার পড়ে আমিষ ত্যাগ করার এক সাধারণ চিন্তাকে দৃঢ় ইচ্ছায় পরিণত করে নেবেন। দৃঢ় ইচ্ছা না থাকলে সাফল্য আসে না, কথায় বলে 'ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।"
২) নিশ্চিতভাবে জানবেন যে, আমিষ খাদ্য ত্যাগ করা সমাজ শোধরাবার ও পরিবার কল্যাণের একটি উত্তম কাজ। এটি আপনাকে আধুনিকতার দিকে নিয়ে যায়, কারণ সেই ব্যক্তিই আধুনিক, যিনি নতুন পথ জেনে সবার আগে তাতে অগ্রসর হন। নিরামিষাশী হওয়া গর্বের বিষয় বলে ভাববেন।
৩) নিজ মনকে ভালোভাবে বোঝাবেন যে আমিষ খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীর দুর্বল হয় না, বরং ক্যান্সার ইত্যাদি অসুখ থেকে বাচা যায় ও শরীর বেশি পুষ্ট হয়।
৪) প্রারম্ভে কিছুদিন নিজ স্বাদ অনুযায়ী নিরামিষ পদার্থ দ্বারা প্রস্তুত কাবাব ইত্যাদি (আমিষের মতো দেখতে) খাবার নেবেন। পরে ক্রমশঃ সাধারণ নিরামিষে চলে আসবেন।
৫) ডাইনিং টেবলে বা রান্নাঘরে আমিষের ক্ষতি দর্শানো কোনো বাক্য যেমন 'আমিষ আহার রোগাদির ভাণ্ডার' ইত্যাদি লিখে রাখবেন, যাতে সেটি পড়ে পরিবারের সব সদস্যই আমিষ খাদ্য ত্যাগের কথা ভাবে।
৬) আমিষ খাদ্য সংগ্রহে পশুদের ওপর হওয়া অত্যাচার এবং তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করবেন আর ভাববেন এরা আমার পূর্বজন্মের কেউ নয় তো?
৭) উপরোক্ত সকল প্রকারের চেষ্টা সত্ত্বেও যদি আমিষ খাদ্য ত্যাগ করতে না পারেন, তাহলে সাত সপ্তাহের জন্য একটি কার্যক্রম তৈরী করুন। প্রথম সপ্তাহে একদিন আমিষ খাবেন না, দ্বিতীয় সপ্তাহে দুদিন। এইভাবে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে বাড়িয়ে সপ্তম সপ্তাহে আমিষ খাদ্য একেবারে ত্যাগ করবেন।
আমিষ খাদ্য ত্যাগ করতে শুধু মনের দৃঢ়তাই প্রয়োজন। এটি ত্যাগ করতে কোনো অসুবিধা হয় না। আমিষাশী বহু ব্যক্তিই এটি একেবারেই পরিত্যাগ করেছেন। সুতরাং আপনিও পারেন আমিষ খাদ্য ত্যাগ করতে। মনে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে আজই এই সর্বনাশকারী আহার থেকে নিজেকে মুক্ত করুন।
মন হারলে হার, মন জিতলে জয়। মাংস খাব না আমি, তাতে যে হয় আয়ু ক্ষয়।
অবশ্যই আগের পোষ্টগুলি পড়েছেন।
পাঠকগনের সুবিধার জন্য ছোট করে পোষ্ট করা হলো।
হরে কৃষ্ণ 🙏🙏
No comments