ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়,
ডিম খাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।
গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, ডিম আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
ডিম খাওয়া এড়ানো উচিত নয় কারণ এটি প্রোটিনের চমৎকার উৎ
Eggs 8 Myths: ডিম খাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। কেউ বলেন ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়, আবার কেউ পরামর্শ দেন শরীরে প্রোটিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পৌঁছনোর জন্য ডিম খাওয়া প্রয়োজন। গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, ডিম আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ডিম খাওয়া নিয়ে গবেষকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন। মানুষের খাবারের দিকে নজর দিয়েছেন। পরামর্শ দিয়েছেন যে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার সঙ্গে কোলেস্টেরল সমস্যা বা হৃদরোগের কোনও সম্পর্ক নেই। ডিম নিয়ে যে ভ্রান্ত ধারণাগুলি আছে সেগুলি কী? সঠিকটাই বা কী?
কিছু সাধারণ ভ্রান্ত ধারণাগুলি এবং এর পিছনে সত্যিগুলি দেখে নিন-
১. ধারণা: ডিম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, তাই এড়িয়ে যাওয়া উচিত
সত্য: ডিম খাওয়া এড়ানো উচিত নয় কারণ এটি প্রোটিনের চমৎকার উৎস। আমাদের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রায় কোনও খাদ্য উপাদানের প্রভাব পরিমাপ করার সময়, স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স-ফ্যাট ('খারাপ' চর্বি) মাত্রা বিবেচনা করা উচিত। তবে পরিমাণ বুঝে, কখনওই অতিরিক্ত নয়।
২. ধারণা: ডিম ধুলে এর ভিতরে উপস্থিত সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যেতে পারে
সত্য: সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া ডিমের ভিতরে থাকে এবং ডিমের বাইরে অর্থাৎ খোসায় নয়। তাই, ডিম বাইরে থেকে ধুলে ময়লা দূর করবে, ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করবে না।
৩. ধারণা: দিনে প্রচুর ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ
সত্য: বৈজ্ঞানিকভাবে দেখা গেছে যে প্রতিদিন তিনটি ডিম সুস্থ মানুষের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।
৪. ধারণা: সাদা ডিম বনাম হাঁসের ডিম, যা স্বাস্থ্যকর
সত্য: ডিম অনেক রঙের হয়। বিভিন্ন ডিমের খোসার রঙ মুরগির রঙ্গক থেকে আসে। অতএব, সাদা এবং বাদামী উভয়েরই পুষ্টির মান একই এবং স্বাস্থ্যকর।
৫. ধারণা: ডিম খেলে হৃদরোগ হতে পারে
সত্য: ডিম খাওয়ার সাথে হৃদরোগের সম্পর্ক নেই।
৬. ধারণা: ডিম খাওয়া অন্ধত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে!
সত্য: ডিম আমাদের চোখকে বয়স-জনিত অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি থাকে।
৭. ধারণা: সালমোনেলা শুধুমাত্র কাঁচা ডিমের কুসুমে পাওয়া যায়, তাই কাঁচা ডিম খাওয়া নিরাপদ!
সত্য: সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া বেশিরভাগ ডিমের কুসুমে পাওয়া যায় কিন্তু এমনকি ডিমের সাদা অংশও দূষিত। তাই সবসময় কাঁচা বা কম সিদ্ধ ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৮. ধারণা: স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ডিম কেনা মুদি দোকান থেকে কেনা ডিমের চেয়ে নিরাপদ!
সত্য: ডিম আসে মুরগি থেকে, আর মুরগিতে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া থাকে। সুতরাং, মুদি দোকানের তুলনায় কৃষকদের বাজার নিরাপদ বিকল্পের কোনও নিশ্চয়তা নেই। দুটিই নিরাপদ তবে পুরো রান্না করে খাওয়াই ভালো।
No comments