Header Ads

কলকাতায় হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাদেঁ ফেলে দেহ ভোগ করে নষ্ট ও মেরে ফেলছে।

কলকাতায় হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাদেঁ ফেলে দেহ ভোগ করে নষ্ট ও মেরে ফেলছে।


দেহ ভোগের গোপন ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিলে। অপমানে আত্মঘাতী তরুণী, গ্রেপ্তার জিহাদে দর্শক প্রেমিক৷


ধৃত সাউমিন খান জোর করে মৌসুমীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে বলে অভিযোগ।পরিবারের লোক জনের দাবি।


স্নানের গোপন ভিডিও ভাইরাল করার  ও হুমকি দেয় । প্রতিবাদ করলে কপালে জুটত মারধর। অপমানে আত্মঘাতী তরুণী। নিজের ঘর থেকে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার পাথুরিয়া গির্জার ঘটনা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তরুণীর ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জিহাদি প্রেমিক সাউমিন খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


বছর বাইশের মৌসুমী সরকারের সঙ্গে জিহাদি প্রেনিক সাউমিন খানের সম্পর্ক তৈরি হয়। সাউমিন ও মৌসুমীর বাবা কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন৷ দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের পরিচয়। মৌসুমীর দুই দিদি বিবাহিত। বর্তমানে মৌসুমী মায়ের সঙ্গে পাথুরিয়ার বাড়িতে থাকতেন। গোপালনগর থানার সুন্দরপুর এলাকায় বাস সাউমিনের। অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়৷ বেশিদিন সে কথা গোপন ছিল না। তাদের সম্পর্কের কথা দুটি পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবকের পরিবারের লোকেরা মৌসুমীর উপর মানসিক অত্যাচার করত। সে কারণে দিনকয়েক মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন মৌসুমী। মৌসুমীর দিদির দাবি, বোনের স্নান করার গোপন ভিডিও তুলে রেখেছিল সাউমিন খান । তা দেখিয়েই জোর করে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে সে। বোন সম্পর্কে জড়াতে না চাওয়ায় অত্যাচার করত। মারধর করত সে। স্নানের ভিডিও ভাইরাল করার হুমকিও দিত সাউমিন খান।


সোমবার দুপুরে মৌসুমীর মা রান্না করছিলেন। সে সময় মৌসুমী ঘরে একাই ছিল। হঠাৎ বাড়িতে কর্মরত রাজমিস্ত্রী তরুণী ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। চিৎকার করতে শুরু করেন৷ প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসে। তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর পুলিশ তরুণীর বাড়িতে যায়। তরুণীর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি সুইসাইড নোট পুলিশের হাতে তুলে নেন আত্মঘাতীর মা। তিনি বলেন, "আমার মেয়ের সঙ্গে সুন্দরপুরের ওই যুবক প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। যুবকের বাবা-মা নিয়মিত অপমান করত মেয়েকে। দিনকয়েক আগে ওই যুবক আমার মেয়েকে মারধর করেছিল। সুইসাইড নোটে তার মৃত্যুর কারণ হিসাবে যুবক ও বাবা-মাকেই দায়ী করেছে মেয়ে।"

মঙ্গলবার বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। বুধবার গভীর রাতে অভিযুক্ত প্রেমিক সাউমিন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন তরুণী। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিজনেরা।

No comments

Theme images by sndrk. Powered by Blogger.