গুইমারায় দুই গ্রামবাসীর বাড়িতে সেনাবাহিনীর তল্লাশি!
গুইমারায় দুই গ্রামবাসীর বাড়িতে সেনাবাহিনীর তল্লাশি!
গুইমারা, খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিকবার বাড়ি তল্লাশি ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩ সালের জুন মাসে संदीप কুমার ত্রিপুরা নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি ও বেড়া ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে, যেখানে संदीप কুমার ত্রিপুরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এছাড়াও, ২০২৫ সালের আগস্ট মাসেও একই উপজেলার ধলিয়া পাড়ায় দুই গ্রামবাসীর বাড়িতে হয়রানিমূলক তল্লাশি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাগুলোর বিবরণ:
জুন ২০২৫:
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় संदीप কুমার ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সেনাবাহিনীর তল্লাশি ও বেড়া ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এটি সন্দীপ কুমার ত্রিপুরা (৩৪), পিতা- মৃত. কৃষ্ণ দয়াল ত্রিপুরার, ৯নং ওয়ার্ড, গুইমারা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিন ধরে মহালছড়ি সেনা জোনএই তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে।
আগস্ট ২০২৫:
খাগড়াছড়ির গুইমারা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ধলিয়া পাড়ায় দুই গ্রামবাসীর বাড়িতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হয়রানিমূলক তল্লাশি চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। এটি ধলিয়া পাড়ার বাসিন্দাদের হয়রানি করার একটি ঘটনা।
এই ঘটনাগুলোর ফলে খাগড়াছড়ির পার্বত্য অঞ্চলে মানবাধিকার
লঙ্ঘন সংক্রান্ত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার গুইমারা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ধলিয়া পাড়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুই গ্রামবাসীর বাড়িতে হয়রানিমূলক তল্লাশি চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট ২০২৫) রাত সাড়ে ৯টার সময় এই তল্লাশির ঘটনা ঘটে।
তল্লাশির শিকার গ্রামবাসীরা হলেন- ১.সন্তোষ ত্রিপুরা (৪০), পিতা- বজেন্দ্র ত্রিপুরা ও ২. চরন কুমার ত্রিপুরা (৪৫), পিতা- নয়ারাম ত্রিপুরা।
ভুক্তভোগীরা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার সময় মাটিরাঙ্গা সেনা জোন থেকে প্রায় ৫০ জনের মতো একটি সেনা সদল ধলিয়া পাড়া এলাকায় যায় এবং “সন্ত্রাসী” খোঁজার নামে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ও জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়।
সেনাবাহিনীর এমন হয়রানিমূলক তল্লাশি ঘটনায় এলাকার জনমনে ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় (সকাল ৯:৩০টা) সেনারা মাটিরাঙ্গা জোনে ফিরে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

No comments