Header Ads

রাজিব দাসকে যৌতুক না দেওয়ায় নির্যাতনের শিকার হলো পিরোজপুরের টুম্পা দাস।

৪ লক্ষ্য টাকা যৌতুকের দাবি না মানায়  শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ



রাজিব দাস নামে এক হিন্দু পুলিশের পদোন্নতির জন্য ৪ লক্ষ্য টাকা যৌতুকের দাবীতে  শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ  উঠেছে। এমন কি ঐ পুলিশ সুপারের কায্যলয়ের সামনে বেধরক মারধর করে। পেটে লাথি কিল ঘুসি এমন কি ছুরি দিয়ে জবাই করার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় ছন্দ্রা দাস টুম্পা দুই দিন ভোলা সদর  হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর, ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত ডাইরী দায়ের করেছেন। ছন্দ্রা দাস টুম্পা ঐ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ২০২০ সালে সনাতন ধর্মীয় অনুযায়ী রাজিব দাস টুম্পাকে বিয়ে করেন, বিয়ের সময় যৌতুক হিসোবে ৫ ভরি স্বর্গ নগদ ৫ লক্ষ্য টাকা, ও একটি এফ জেট মটর সাইকেল, দেওয়া হয়।হিন্দু ধর্মে যা যা দেওয়া লাগে সবই দিয়েছে।

ছন্দ্রা দাস টুম্পা 


 বিয়ের এক বছর পর শ্বশুর বাবুল দাসের কাছে আরো যৌতুক দাবী করেন জানান স্ত্রী টুম্পা, তার বরিশাল বাসা নিয়ে বাসায়  সমস্ত মাল নিয়েছে। টুম্পার মা বাবা কিনে দিয়েছে। কয়েদিন যায় যেই টাকা দরকার হয় তখন নির্যাতন করা হয়। 



তবে দাবি পুরণ না হলে দীর্ঘ দিন বাবার বাড়িতে ফেলে রাখে রাজিব দাস, কোন উপায় না পেয়ে ২০২২ সালে  ২২ আগস্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি  টুম্পা।  এরপর কয়েক মাস সংসার করেন রাজিব তবে চলতি  জানুয়ারি মাসে রাজিব টুম্পাকে জানায় তার পদোন্নতির জন্য ৪ লাখ টাকার প্রয়োজন এবং ঐ টাকা টুম্পার বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে বলেন রাজিব। টুম্পা এতে রাজি না হওয়ায় আবার তাকে শারীরিক নির্যাতন করে ঘাতক রাজিব এবং যৌতুকের টাকার জন্য বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়, টুম্পার বাবা বলেন আমার মেয়েকে শারীরিক ও৷ মানসিক ভাবে নির্যাতন করছে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রাজিব দাস ভোলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত আছে। রাজিব পিরোজপুর জেলার কাউখালি থানার বাউসুড়ি গ্রামের মৃত অসিম দাসের ছেলে। স্ত্রী টুম্পা একই থানার ধাবোরি গ্রামের বাবুল দাসের মেয়ে।। যৌতুকের অভিযোগ সত্যি নয় বলে দাবী করেন অভিযুক্ত রাজিব, এ বিষয়ে ভোলা পুলিশ সূপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিব টুম্পা বেধড়ক মারধর করে। গত ২১ জন দিন বর অপেক্ষা করে টুম্পা ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে এড়িয়ে যাওয়ায় টুম্পা বলেন আমরা গরীব অসহায়  বলে পার পাইয়ে যাইতেছে  কোনো বিচার পাইনা আমরা বড় বড় অফিসারদের ধারে ধারে ঘুরতেছি আমরা কোনো বিচার করতেছেন না তারা কিভাবে এই রাজিব ছাড় পায়।। তবে এবিষয়ে কথা বলতে চান না ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মোঃ শাহিন ফকির। 


No comments

Theme images by sndrk. Powered by Blogger.