ডুমুরিয়ায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ঋতু মণ্ডল অপহরণ।
ডুমুরিয়ায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ঋতু মণ্ডল
অপহরণ।
আরও একটি দুঃখজনক ঘটনা!
ডুমুরিয়ায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ঋতু মণ্ডল যখন স্কুলে যাতায়াত করত, তখন সালমান শেখ(১৯) ও রসুল(২৩) নামের দুই যুবক, তাকে নানা ধরনের আপত্তিকর-প্রস্তাব দিত, অত্যন্ত অশ্লী*ল অঙ্গভঙ্গি করত। ঋতু তাদের পাত্তা দিত না, এড়িয়ে চলার চেষ্টা করত। গত পরশুদিন কে এম ইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে, ১৩ বছর বয়সী ঋতু মণ্ডলকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে গেছে- দুর্বৃত্ত সালমান শেখ ও রসুল। এখন পর্যন্ত ঋতু মণ্ডলকে উদ্ধারের সংবাদ পাওয়া যায়ন
ডুমুরিয়া সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। সেখানকার এমপি মহোদয় পর্যন্ত সনাতন ধর্মালম্বী। তা সত্ত্বেও প্রকাশ্য দিবালোকে স্কুলের সামনে থেকে, একজন সনাতনী নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো! সত্যিই আশ্চর্যজনক! ঋতু মণ্ডল উদ্ধারে- সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে তৎপর হওয়া দরকার
আগে দেখেছি, হি*ন্দু মেয়েরা একটু বড় হলে যদি টার্গেটে পরিণত হতো- তাহলে তাদের ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। ভারত সরকার ফিঙ্গারপ্রিন্ট চালু করার পর থেকে, বাংলাদেশ থেকে কোন হি*ন্দু আর ভারতে গিয়ে কাগজপত্র তৈরি করে বসবাস করতে পারছে না। অবশ্য বাংলাদেশের বিত্তশালী পরিবার গুলো তাদের সন্তানদের পাঠিয়ে দিচ্ছে আমেরিকা, কানাডা কিংবা ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে। নিম্নবিত্ত হি*ন্দু পরিবার গুলোর পক্ষে নিরাপদ দেশে স্থানান্তরিত হওয়া মোটেও সহজ নয়।
রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ হি*ন্দু, দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে এবং এদের অধিকাংশের বসবাস অনিরাপদ মফরস্বল এলাকায়। গ্রামে-গঞ্জে সংখ্যালঘু হি*ন্দু মেয়েরা সাংঘাতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। লাভ-জি*হাদী চক্র, সনাতনী মেয়েদের পিছনে লেগে আছে। গার্জিয়ানদের মধ্যে সদা-সর্বদা আতঙ্ক - কখন আবার কী ঘটে যায়!
একদিকে ওয়াজ মাহফিলের হুজুররা- সংখ্যালঘু হি*ন্দুদের বিরুদ্ধে মারাত্মক বি*দ্বেষ-মূলক কথাবার্তা বলছে; তার উপরে ব্লগার ও ইউটিউবাররা মনগরা সব কল্পকাহিনী প্রচার করে, হি*ন্দু-বি*দ্বেষ উস্কে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের মিডিয়া পক্ষপাত দুষ্ট; আর প্রশাসনের কথা কী বলবো! ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন আমাদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে! সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে পর্যন্ত ভয় করে - কখন আবার কোন অজুহাতে কারাগারে নিক্ষেপ করে!
১৯৯১ সালে বিএনপি'র মন্ত্রী কেরামত আলীর ক্যাডাররা, পটুয়াখালীতে হি*ন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর ও লু*টতরাজ করেছিল। প্রতিবাদে পটুয়াখালী শহরে হরতাল করেছিলেন। বিএনপি'র সন্ত্রা*সীরা হকিস্টিক ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে বের হয়ে, দোকান খোলানোর চেষ্টা করেছিল; পারে নি। পরে অবশ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা, পটুয়াখালী শহরের হি*ন্দু ব্যবসায়ীদের উপর নীরব চাঁদাবাজি করেছিল। আজকে কোন হি*ন্দু সংগঠন পারলে বুকে হাত দিয়ে বলুক, সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে - বাংলাদেশের কোন একটি জেলা শহরে,
হিন্দুরা নিরাপদে আছে কি না?
এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা!
No comments