রাধাষ্টমী ব্রতকথা| Radha ashtami Bratakatha,
রাধাষ্টমী ব্রতকথা| Radha ashtami Bratakatha,
রাধাষ্টমী ব্রত পালনের হিন্দু ধর্মের বেশ আনন্দ মুখর দিন। হিন্দুঘরে প্রধানত বৈষ্ণবরা সুখশান্তি ও মঙ্গলকামনায় এই ব্রত পালন করেন । এটি ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষে রাধাষ্টমী তিথিতে শ্রীরাধিকার পূজার অংশ হিসাবে পালন করা হয়।হিন্দু ধর্ম অনুসারে জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের আবির্ভাব দিবস পালনের কয়েক দিন পরেই এবার শ্রীরাধিকার জন্মদিবস।
প্রপঞ্চ লীলায় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অন্তরঙ্গা স্বরূপশক্তি গোলোকেশ্বরী রাধারাণী ভাদ্র মাসে শুক্লা অষ্টমী তিথিতে অনুরাধা নক্ষত্রে সোমবারে মধ্যাহ্ন কালে ব্রজমণ্ডলে শ্রীগোকুলের অনতিদূরে রাভেল নামক গ্রামে শ্রীবৃষভানু রাজা ও কীর্তিদা মায়ের ভবনে সকলের হৃদয়ে আনন্দ দান করে আবির্ভূত হন।শ্রী রাধারাণী
প্রাননাথ স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ব্যাথীত এই রাধাষ্টমী তিথীর সম্যক মাহাত্ম্য কেউই বনর্ণা করতে পারেনা।সনাতন ধর্মানুসারীরা এই দিনটিকে রাধাষ্টমী হিসেবে পালন করেন। কথিত আছে, একসময় সূর্যদেব পৃথিবী ভ্রমণ করতে আসেন। সেই সময় পৃথিবীর রূপে মুগ্ধ হয়ে তিনি মন্দর পর্বতের গুহায় গভীর তপস্যায় মগ্ন হন। সূর্যদেব দিনের পর দিন তপস্যায় রত থাকায় পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। স্বর্গের দেবতারা তখন সৃষ্টি রক্ষার জন্য শ্রীহরির শরণাপন্ন হন।
তখন স্বর্গের দেবতারা ভীত হয়ে শ্রীহরির কাছে সাহায্যের জন্য যান। শ্রীহরি সূর্যের সামনে উপস্থিত হলে সূর্যদেব খুব আনন্দিত হন। সূর্যদেব বলেন আপনার দর্শন পেয়ে আমার তপস্যা সার্থক হলো। শ্রীহরি তাকে বর দিতে চাইলে, সূর্যদেব বলেন আমাকে এমন একটি গুণবতী কন্যার বর প্রদান করুন যার কাছে আপনি চিরকাল বশীভূত থাকবেন। শ্রীহরি তথাস্ত বলে তাই বর দিয়েছিলেন। শ্রীহরি বলেছিলেন পৃথিবীর ভার লাঘবের জন্য আমি বৃন্দাবনের নন্দালয়ে জন্মগ্রহণ করব। তুমি সেখানে বৃষভানু রাজা হয়ে জন্মাবে। শ্রীমতি রাধা তোমার কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করবে।
এই ত্রিলোকে আমি একমাত্র শ্রী রাধিকারই বশীভূত থাকবো। রাধা ও আমার মধ্যে কোনো প্রভেদ থাকবে না। আমি সবাইকে আকর্ষণ করি কিন্তু একমাত্র রাধিকাই আমাকে আকর্ষণ করবে। এরপর শ্রীহরি নন্দালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। সূর্যদেব বৈশ্যকুলে জন্মগ্রহণ করে বৃষভানু রাজা হলেন এবং গোপকন্যা কীর্তিদার সঙ্গে তার বিবাহ হল। তারপর যথাকালে ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষে অষ্টমী তিথিতে ধরিত্রীকে পবিত্র করে কীর্তিদার গর্ভে শ্রীমতি রাধারানী জন্মগ্রহণ করেন। এই রাধারানীর আবির্ভাব তিথিই রাধাষ্টমী নামে পরিচিত। অন্য এক বর্ণনা থেকে জানা যায়, সেকালে যমুনা নদী বর্ষাণার রাভেল স্থানটির পাশ দিয়ে বয়ে যেত।একদিন রাজা বৃষভানু নদীতে স্নান করতে গিয়ে দেখলেন, হাজার সূর্যের আলোর ন্যায় জ্যোতির্ময় এক সোনার পদ্ম ঠিক যমুনা নদীর মাঝখানে ফুটে আছে, যার মধ্যে রয়েছে একটি ছোট শিশুকন্যা। তারপর ভগবান ব্রহ্মা এসে বিস্মিত রাজাকে জানালেন যে রাজা বৃষভানু ও তাঁর পত্নী কীর্তিদা পূর্বজন্মে ভগবান বিষ্ণুর পত্নীকে কন্যারূপে লাভ করার জন্য কঠোর তপস্যা করেছিলেন। তার ফলস্বরূপই এই জন্মে রাজা স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর পত্নীকে কন্যারূপে পেয়েছেন। এরপর রাজা বৃষভানু সেই শিশুকন্যাকে নিয়ে এসে তার পত্নী কীর্তিদার হাতে তুলে দিলেন। কিন্তু তারা দেখলেন শিশুটি কিছুতেই চোখ খুলছে না।তারা ভাবলেন শিশুটি বোধহয় অন্ধ! তখন নারদমুনি রাজা বৃষভানুর কাছে এসে রাজাকে শিশুটির জন্মের জন্য আনন্দের উৎসব করতে বললেন। নারদমুনীর কথা অনুযায়ী রাজা বৃষভানু উৎসবের আয়োজন করলেন। সেই উৎসবে নন্দ মহারাজ শিশু কৃষ্ণসহ সপরিবারে এসেছিলেন। ঐ অনুষ্ঠানে শিশু কৃষ্ণ যখন হামাগুড়ি দিয়ে শিশু রাধারাণীর দিকে এগিয়ে এলেন, সেই মুহুর্তে রাধারাণী চোখ খুলে প্রথমে দেখলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে। বৃন্দাবনের নিকটবর্তী বর্ষাণা এলাকার অন্তর্গত পবিত্র রাভেল নামক জায়গায় রাধারাণী আবির্ভূত হয়েছিলেন।(রাধাষ্টমী ব্রত)
Radha ashtami পালন প্রসঙ্গে ভগবত ও পুরাণে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি একবারের জন্যও এই ব্রত পালন করেন তার কোটি জন্মের ব্রহ্ম হত্যার মত মহাপাপ বিনষ্ট হয়। শত শত একাদশী ব্রত পালনে যে ফল লাভ হয় রাধাষ্টমী ব্রত পালন করলে তার শতাধিক ফল লাভ হয়ে থাকে। পুরাকালে লীলাবতী নামে এক পতিতা বাস করতো। নগর ঘুরতে এসে সে দেখে সুসজ্জিত এক মন্দিরে মহাধুমধাম করে রাধা রানীর পূজা করা হচ্ছিল।
সে এগিয়ে গিয়ে ব্রতীদের জিজ্ঞাসা করে সেখানে কিসের উৎসব পালিত হচ্ছে। ব্রতীরা রাধা মহারানীর আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে রাধাষ্টমী ব্রত পালনের কথা ও তার মহাফল সব সবিস্তারে তাকে বলে। সেই পতিতারও এই ব্রত পালনের ইচ্ছে হয়, সেও অন্য ব্রতীদের সাথে রাধাষ্টমী পালন করে। পরদিন সর্প দংশনে তার মৃত্যু হয়। যমদূতেরা ওই পতিতাকে নিয়ে যমলোকে যাত্ৰা করলে সেখানে শ্রী হরির লোকেরা উপস্থিত হয়ে তাকে বন্ধন মুক্ত করে বৈকুণ্ঠ লোকে নিয়ে যায়। এই ভাবে ওই লীলাবতী নামে পতিতা নারীও রাধাষ্টমী ব্রত পালন করে সর্বপাপ মুক্ত হয়েছিলেন।
পদ্মপুরাণে (ব্রহ্মখণ্ড ৭/৮) বলা হয়েছে-
একাদশ্যাঃ সহস্রেন যং ফলং লভতে নরঃ। রাধা জন্মাষ্টমী পুণ্যং তস্মাং শত গুণাধিকম্।। "একহাজার একাদশী ব্রত পালন করলে যে ফল লাভ হয়, শ্রীরাধাষ্টমী ব্রত পালন করলে তার চেয়ে শতগুন অধিক ফল লাভ হয়ে থাকে।" আরও বলা হয়েছে, " কোটি জন্মের অর্জিত পাপরাশি ভক্তিপূর্ণ রাধাষ্টমী ব্রত ফলে বিনষ্ট হয়। সুমেরু পর্বত প্রমান সোনা দান করলে যে ফল লাভ হয় একটি মাত্র রাধাষ্টমী ব্রত উদ্যাপন করে তার শতগুন অধিক ফল লাভ হয়। গঙ্গা ইত্যাদি সমস্ত পবিত্র তীর্থে স্নান করে যে ফল লাভ হয় একমাত্র বৃষভানুকন্যার জন্মাষ্টমী পালন করে সেই ফল লাভ হয়।
পদ্মপুরাণে আরো বলা হয়েছে-
রাধাষ্টমী ব্রতং তাত যো ন কুর্য্যাচ্চ মূঢ়ধী। নরকান্ নিষ্কৃতি নাস্তি কোটিকল্পশতৈরপি।। "যে মূঢ় মানুষ রাধাষ্টমী ব্রত করে না, সে শতকোটি কল্পেও নরক থেকে নিস্তার পেতে পারেনা।" স্ত্রীয়শ্চ যা না কৃবন্তি ব্রতমেতদ্ সুভপ্রদম। রাধাকৃষ্ণপ্রীতিকরং সর্বপাপপ্রনাশম্।। অন্তে যমপুরীং গত্বা পতন্তি নরকে চিরম্। কদাচিদ্ জন্মচাসাদা পৃথিব্যাং বিধবা ধ্রুবম্।। "যে নারী শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের প্রীতিকর সর্ব পাপনাশক এই শুভপ্রদ মহাব্রত পালণ করে না, সে জীবনের অন্তকালে নরকে গিয়ে চিরকাল সেখানে যাতনা ভোগ করে। পৃথিবীতে থাকাকালীনও সে দুর্ভাগিনী হয়।" এই মহাব্রত করলে শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের অভয় পাদপদ্মে অচলা ও অব্যভিচারিনী ভক্তি লাভ হয়ে থাকে।
(শ্রীশ্রী রাধাষ্টমী ব্রত বিধানে পারণে তথা পূর্ণ দিবসের প্রমাণঃ)
ভাদ্রমাসি সিতে পক্ষে অষ্টমীর্যা তিথির ভবেৎ তস্যাং বিশাখা নক্ষত্রে দিনার্দ্ধেহ ভিজিতেক্ষনে অতীব সুকুমারাঙ্গীং কির্তিদা অসুত কন্যাকম এবংসদনুসন্ধা নৈস্তারং তিথিং সমুপোষয়ে্ৎ পরেহহ্নি পারনং কূর্যাৎ বৈষ্ণবৈ সহ বৈষ্ণব। (ভবিষ্যৎ পুরান-সুত সৌনক সংবাদ) অনুবাদঃ ভাদ্রমাসি অষ্টমীতিথীতে বিশাখা নক্ষত্র যুক্তদিনে মধ্যাহ্ন কালে কির্তীদা দেবীর গৃহে পরমা সুন্দরী শ্রীমতি রাধারানীর আবির্ভাব হয়।সেই শুভ তিথি সংযুক্ত দিবসে ব্রত ধারন করিবে এবং পরদিন প্রাতসময়ে বৈষ্ণব গন সহ বৈষ্ণব পারন করিবে।
তাহলে এবার ভাবুন, এরকম পূণ্যময়ী ব্রত কদাপি অর্ধবেলা উপবাস বলে পালন করা উচিত নয়।আপনি অর্ধবেলা উপবাস থাকলে, আপনার ব্রত পূর্ণ হবেনা এবং নরকগামী হবেন। কদাপি কোন উপবাস অর্ধদিবস বা দুপুরবেলা, ও গোধূলীবেলা বা সন্ধ্যা অবধি কোন উপবাস শাস্ত্র সমর্থন করেনা, যেকোন তিথি তা একাদশী হোক বা ভগবততত্ত্বের আবির্ভাব তিথি, ঐদিন উপবাস থেকে পরেরদিন উপবাস ভঙ্গ করতে হয়। যেমন একাদশীর উপবাস থেকে দ্বাদশীতে পারণ করতে হয় ঐরকম রাধাঅষ্টমীর উপবাস পুরো দিনরাত থেকে পরদিন নবমীতে পারণ করতে হবে যার শাস্ত্রীয় প্রমাণ উপরে দেওয়া হয়েছে। রাধে রাধে
শ্রীনারদ পঞ্চরাত্রে’ বলা হয়েছে –
সৃষ্টিকালে চ সাদেবী মূলপ্রকৃতিরীশ্বরা ।
মাতা ভাবেন্মহাবিষ্ণোঃ স এব চ মহান্ বিরাট্ ।।
অর্থাৎ – “শ্রীরাধাই মূল প্রকৃতি এবং ঈশ্বরী । জগত সৃষ্টির সময় যে মহাবিষ্ণু হতে জগত সৃষ্টি হয়, সেই বিরাট পুরুষের মাতা শ্রীরাধা । মহাবিষ্ণু হতে জগত সৃষ্টি এবং শ্রীরাধা হতে মহাবিষ্ণু উদ্ভব বলে শ্রীরাধাকে তত্ত্বতঃ জগন্মাতা বলা হয় ।”
‘শ্রীনারদ পঞ্চরাত্রে’ আবার বলা হয়েছে –
রাধা বাম শসম্ভূতা মহালক্ষ্মী প্রকীর্ত্তিতা ।
ঐশ্বর্য্যাধিষ্ঠাত্রী দেবীশ্বরস্যৈব নারদ ।।
অর্থাৎ – যে মহালক্ষ্মী ঈশ্বরের ঐশ্বর্য্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, তিনি শ্রীরাধার বামসম্ভূতা অর্থাৎ তিনি শ্রীরাধার অংশ । সুতরাং শ্রীরাধা হচ্ছেন সর্ববিধ ঐশ্বর্য্যের মূল অধিষ্ঠাত্রী দেবী ঋগবেদে (১/৩০/৫) “স্ত্রোত্রং রাধানাং পতে গির্বাহোবীর যস্যতে”
অর্থাৎ – “হে বীর রাধানাথ স্তুতি ভাজন তোমার এ রূপ স্তুতি, তোমার বিভূতি সত্য ও প্রিয় হোক ।”
এই রকম শাস্ত্রে বহু প্রমাণ দেখতে পাওয়া যায় যে শ্রীমতী রাধারাণী শ্রীকৃষ্ণের আদিশক্তি ।
রাধাষ্টমী ব্রত ২০২১ সালে ১৩ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পালিত হবে রাধাষ্টমী। ১৩ ই সেপ্টেম্বর দুপুর ৩ টে বেজে ১০ মিনিট থেকে শুরু হবে রাধাষ্টমী এবং শেষ হবে ১৪ই সেপ্টেম্বর ১টা বেজে ৯ মিনিটে।
রাধাষ্টমী ব্রত
পালনের প্রথম পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ অর্থাত্ ফুল,আতপ চাল, সিদ্ধ চাল এবং নৈবেদ্য হিসাবে আটরকমের আটটি ফল সংগ্রহ করতে হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্রতের সারাদিন উপবাসী থেকে উপকরণগুলি দিয়ে রাধা ও অষ্টসখীর পূজা, এবং পৃথকভাবে বৃষভানু ও নন্দরাজার পূজা করতে হয়।
ব্রতের পরদিন ব্রাহ্মণ ও বৈষ্ণবদের ভোজন করিয়ে ব্রত সমাপন করতে হয়।
প্রার্থণা কি করবেনঃ তোমারই শক্তিবলে সুখে দুঃখে একরকম ভক্তির কাজ করছি। হে বিশ্বনিয়ামক! তোমার নিকট মনের ভাব ব্যক্ত করে তোমারই আমোঘ আশীর্দবা প্রার্থনা করছি। ভাব দাও এবং প্রাণের ভাব ভাষায় সরল ভাবে ব্যক্ত করার শক্তি দাও, আমি আনন্দে মনে তোমার লীলা তোমার শক্তি তোমার বিশ্ব কর্তৃত্ত্ব তোমার বিশ্বব্যাপিত্ব ভাষায় ব্যক্ত করে ভক্তি দ্বারা যেন নর নারীর মনের সংশয় দূর করতে পারি।
আর ভক্তির প্রভাবে ভক্ত হয়ে নরনারী ভক্তিভাবে তোমায় ডেকে এবং তোমায় ভালবেসে যাতে ভবসাগর পার হতে পারে তার সুপথ যেন দেখাতে পারি। হে বিশ্বগুরু! দেখ যেন অভিমান পার হতে এসে লক্ষ্যভ্রষ্ট না করে। আর শক্তি দিও ভাব প্রকাশ করতে গিয়ে যেন ভ্রান্ত মতের অনুসরণ না করি। তুমি জ্ঞান দাও, বিজ্ঞান দাও, বিবেক দাও, ধৈর্য্য দাও, ধারণা দাও, তোমার প্রদত্ত শক্তি বলে যেন সত্যের প্রভার দিবানিশি হৃদয়ে জাগরুক থাকে। আর অকপট হৃদয় নির্ভর প্রাণে, সরল ভাষায় সরলভাবে যেন পবিত্র আর্য ধর্মতত্ত্ব ব্যক্ত করতে পারি। দীনের আজ এটাই প্রার্থনা ।
No comments