আতঙ্কের পাকিস্তান- ৮ বছরের হিন্দু শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ করে চোখ উপড়ে নিল দুষ্কৃতীরা
আতঙ্কের পাকিস্তান- ৮ বছরের হিন্দু শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ করে চোখ উপড়ে নিল দুষ্কৃতীরা
পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ক্রমশই বাড়ছে। রীতিমত আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে হিন্দুদের জন্য। আবারও ইসলামিক এই রাষ্ট্রে নির্যাতনের স্বীকার এক হিন্দু শিশুকন্যা। ৮ বছরের মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে তার চোখ খুবলে নেয় দুষ্কৃতীরা।
পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ক্রমশই বাড়ছে। রীতিমত আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে হিন্দুদের জন্য। আবারও ইসলামিক এই রাষ্ট্রে নির্যাতনের স্বীকার এক হিন্দু শিশুকন্যা। ৮ বছরের মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে তার চোখ খুবলে নেয় দুষ্কৃতীরা। তেমনই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রবিবারএই ঘটনা ঘটছে। শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ করা হয়। তারপর তার মুখ আঁচড়েদেয় দুষ্কৃতীরা। এমনই নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয় যে মেয়েটির চোখ দুটি বেরিয়ে আসে। রবিবার হাসপাতালে কিশোরীর মৃত্যু হয়।
ভিডিও ক্লিব দেখতে এখানে ক্লীক করুন
পাকিস্তানের একজন
হিন্দু মানবাধিকার রক্ষ কর্মী একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন টুইটারে। সেখানে দেখা যাচ্ছে নির্যাতিতাকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্টেটারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালের এক মহিলাকেও ভিডিওটিতে দেখা যায়। এই মহিলা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলে শিশুকন্যার শরীর দিয়ে রক্ত বার হচ্ছে। এই রক্ত প্রবাহ বন্ধ না হলে তাকে বাঁচানো যাবে না। মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রের খবরের কথা উল্লেখ করে ভিডিওতে জানান হয়েছিল, কিশোরীর যৌনাঙ্গের আঘাত গুরুতর। সেখান থেকে ক্রমাগত রক্ত বার হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার পর তাকে বিআইডিএস হাসরাকালে রেফার করা হয়েছিল। একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কিশোরীরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তিনি বলেছিলেন কিশোরীর অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন। অবিলম্বে রক্তপাত বন্ধ করতে হবে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবরকম চেষ্টার পরেই কিশোরীকে বাঁচানো যায়নি।
তবে এই ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে দুষ্কৃতীদের পৈশাচিক আচরণ। কারণ এক মেয়েটিকে গণধর্ষণের মত ভয়ঙ্কর শারীরিক অত্যাচার করেই তারা ছেড়ে দেয়নি। তার চোখও তারা খুবলে নিয়েছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন কিশোরীর অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তার দিকে তাকালেই মেরুদণ্ড দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেছিলেন, যে পাকিস্তানে দরিদ্রদের কোন জায়গা নেই। তিনি বলেন, "এই মেয়েটির অবস্থা যে কেউ দেখতে পাবে, এটাই একমাত্র ঘটনা নয়, প্রতিদিন এরকম হাজারো ঘটনা ঘটছে কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, এই মানুষগুলো কোথায় যাবে, সরকারকে জবাব দিতে হবে।"
No comments