Header Ads

হিন্দু ছেলেরা কি বিয়ে করে? না কি ঘুষ নিয়ে বানিজ্য করে?

হিন্দু ছেলেরা কি বিয়ে করে?
না কি ঘুষ নিয়ে বানিজ্য করে?







হিন্দুদের মধ্যে জাতপাতের পরে আরেকটি মহামারী ক্ষয় রোগ হল যৌতুক। এটা এখন প্রথায় পরিনিত হয়েছে।


হিন্দু ছেলেদের যৌতুক কেন চাইতে হবে বিয়ের সময়? কি এমন নিয়ম আছে? ছেলেরা কি বিয়ে করে নাকি ঘুষ বানিজ্যের মতো যৌতুক বানিজ্য করতে বিয়ে করে? কেন একটি ছেলেকে অর্থের গ্রহীতা(borrower) একটি মেয়ের বাবাকে আর্থিক দাতা (Bank বা moneylender) হতে হবে বিয়ের নামে। হিন্দুদের কোনো শাস্ত্রে যৌতুক নেয়ার কথা লেখা আছে? গোটা মেয়েটাকেই তো যৌতুক হিসাবে পেয়ে যায় সারা জীবনের জন্য ভোগ্য পন্য হিসাবে!

আর কি চায় ছেলেরা? তার উপর আরো বাড়তি কেন চাই? যৌতুকের টাকা দিয়ে যদি মেয়েটিকে শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী করলে মেয়েটি আজীবন বেঁচে যাবে, সুখে থাকার সম্ভাবনা বেশী। যৌতুক দিয়ে ট্রেডিং না করে সে টাকা মেয়েটির শিক্ষার জন্য ব্যয় করা বিপদের সম্বল। কোন ভদ্র  ও শিক্ষিত পরিবারের ছেলে যৌতুক চাইবে না, আবার কোন শিক্ষিত ও ভদ্র পরিবার তাদের মেয়েকে ট্রেডিং করবে না। হ্যাঁ অনেকে খুশি হয়ে তাদের মেয়েকে সোনাদানা জায়গা জমি দিতে পারে, যাদের আছে তারা তো তাদের মেয়েকে না দিয়ে অন্যের মেয়েকে কি বিয়ে দিতে কখনো সাহায্য করে? এক পরিবারের দেখা দেখি অশিক্ষিত পরিবার ও ছেলেদের মধ্যে যৌতুকের লোভ একটি ব্যাধিতে পরিনতি হয়েছে, এরজন্য আমাদের হিন্দু সমাজ একটি মারাত্বক বিপদের মধ্যে আছে। কোন গুরু সাধু রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাদের কখনো দেখেছেন যৌতুকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে, যৌতুক গ্রহন করাও  পাপ।  বেআইনি কোন সমাজপতি ধর্মীয় গুরুরা তাদের শিষ্যদের বলতে শিখাতে ও হিন্দু সমাজকে রক্ষা করতে যৌতুক বেআইনি ঘোষনা দিতে দেখা যায়নি ?  যৌতুক দিয়ে ও নিয়ে কোন ছেলে মেয়ে সুখী বা ধনী হতে পারে নি। মেয়ের পরিবার মনে করে এতে তাদের মেয়ে সুখে থাকবে, সবসময় তা হয় না। অকর্মন্য ও  পর খাওয়ায় বিশ্বাসীরা যৌতুক খুঁজে। মানুষের সাইকোলজিক্যাল স্বভাব হলো যত পাই তত চাই। সত্যিকারের সাধু সন্ন্যাসী ছাড়া লোভকে কেউ সামলাতে চায় না/ পারে না? একদিকে হিন্দু ছেলে গুলো বিয়ে করে দেরীতে তার উপর যৌতুকও চাই আবার সুন্দরী ও চাই, সবকিছু ১০০% চাই। আগের দিনে শ্বশুরের সম্পত্তি ও বাড়ী জমি বেশী আছে কিনা দেখা হতো। সে যুগ শেষ। কোয়ালিটিকে এখন হিন্দুদের বিয়ের বাজারে দাম দেয়া হয়।


বিদেশে ছেলে মেয়েরা ২০/২৫ বছর বয়সে লেখাপড়া করা অবস্হায় বিয়ে করে সাথে চাকরিও করে, আমাদের দেশে সে রকম সহযোগিতা পরিবার ও দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো থেকে হিন্দু ছেলে মেয়েরা পায় না। ফলে ইউরোপ আমেরিকা থেকে ভারতীয় ও বাংলাদেশী হিন্দু ছাত্রছাত্রীরা অনেক পিছিয়ে আছে।


হিন্দু জনসংখ্যা এমনিতেই কমে যাচ্ছে, তার উপরে ছেলে মেয়েরা যথা সময়ে প্রতিষ্টিত হতে পারছে না, ফলে বিয়ে দেরীতে বা ৩০ বছরের পরে বৃদ্ধ বয়সে করছে, এতে কোন রকমে ঠেলে টুলে একটি বা দুটি, অনেক সময় জিরো। আমাদের মন্দির গুলি হিন্দু ছেলে মেয়েদের কোন সাহায্য ও শিক্ষা দেয় না। স্কুল কলেজ বীজগণিত পাটিগণিত শিখায়, কিন্তু জীবনে কিভাবে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়ার হিসাব নিকাশ কিভাবে হতে হবে, কিভাবে টাকা মেইক করতে হবে, কার জীবনের পরিকল্পনা কি , কিভাবে ইনভেস্টমেন্ট, ব্যবসা, চাকরী কত তাড়াতাড়ি পেয়ে স্বাবলম্বী হয়ে সমাজ, জাতি ও ধর্মকে রক্ষা করবে তার কোন দিক নির্দেশনা ছোট বেলা থেকে কোন পরিবার বা স্কুলে শিক্ষা দেয় না, যা শিখাই অসভ্যতা কিভাবে করতে হবে, আর বলিউডের খানদের ডার্টি ছবি ও লাভ জিহাদে জীবন বিসর্জন দেয়ার ফাঁদে পা বাড়াতে নাচ গান শিখিয়ে বড় করে তোলে। একটি ছেলে ও মেয়েকেপরিবার?

মন্দির ও স্কুলে কখনো জীবন গঠনের দিকনির্দেশনা দেয় না। ফলে স্কুল কলেজ পাশ করে ছন্নছাড়া হতদরিদ্র হয়ে জীবন পার করে। উদ্দ্যোমী,পরিশ্রমী,লড়াকু ও দায়িত্ব নেয়ার মত মন মানসিকতা করে মন্দির স্কুল পরিবার কেউ সাহায্যে ও তৈরী করে গড়ে তুলে না। এরচেয়ে আমাদের টোল শিক্ষা অনেক উন্নত ও ভাল ছিল। গোটা হিন্দু সমাজ মধ্যযুগে পড়ে আছে। বাধ্য হয়েই বাস করে মধ্যযুগের একটি বর্বর ধর্মীয় বিধানযুক্ত রাষ্ট্রে, না পাচ্ছে  হিন্দু সমাজে , না পাচ্ছে রাষ্ট্রের সহযোগিতা। এর ফলে সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ছাত্রছাত্রী হতাশায় আত্মহত্যা করে, নাই কোন চাকরী, তার উপর লাভজিহাদ ও নানা ধরনের সন্ত্রাসের উপদ্রব।

এরজন্য এক্সক্লুসিভলি যতদিন হিন্দুরা কয়েকটি এনক্লেইভ বা নিরাপদ অবকাঠামো ফ্লাট র্ফম তৈরী করতে না পারবে সরকারের নিকট হউক আর হুন্দু সমাজের নিকট  দাবী করে, হিন্দু শিক্ষা প্রতিষ্টান, হিন্দু মন্ত্রনালয় ও হিন্দুদের জন্য হিন্দুদের ভোটে  পৃথক নির্বাচনের মাধ্যমে হিন্দু সাংসদ ও সংসদীয় ক্ষমতা রপ্ত করা যাবে না ততদিন ধীরে ধীরে বাংলাদেশে হিন্দুরা হিন্দুরা বিলুপ্ত হবে। ধনীরা এসব বিষয়ে ইনভেস্ট করে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে না, কারন তারা এবং তাদের ছেলে মেয়েরা বিদেশে বিলাসিতায়, লেখাপড়া ও বসবাস করে। কথায় বলে বড় লোকের পয়সা হলে কুকুর কিনে পালন করে।ধনীরা কেউ মন্দির বানাবে, কেউ কয়েক কোটি টাকা খরচ করে পুজা ও মহৌৎসব করবে, কেউ আবার তীর্থক্ষেত্রে পিন্ড দান করে গঙ্গাঘাটে পাথরের ফলক বিছিয়ে দিয়ে আসবে।


এখন প্রায় সকলেই যার যার ব্যক্তি স্বার্থ নিয়েই চিন্তিত হিন্দুজাতির স্বার্থ নিয়ে চিন্তার কারো সময় নেই। দেশে বিদেশে কতগুলি সংখ্যালঘুদের দল সংগঠন সংঘও আছে ব্যাঙের ছাতার মতো। সবই ধান্দা,বাজ পরিষদ সংঘ দল জোট ইত্যাদি। এ গুলি দ্বারা কিছু হবে না, যতক্ষন এসব দলগুলি একজোট হয়ে একটা revolt or upset করবে না। একে অপরের প্রতি স্বার্থপর হীনমন্যতা ও হিংসায় পরিপূর্ন কোন জাতি বিলুপ্ত হওয়া ছাড়া জেগে উঠতে পারে না। একই অবস্হা ভারতের ছাত্রছাত্রীদেরও।


এ লেখাটি পড়ে কিছু হিন্দু ছেলেমেয়েও যদি জেগে উঠে নিজের জীবনকে প্রতিষ্টিত করে বিয়ে ও সংসার করে ডুবন্ত হিন্দু সমাজকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে তাহলে এ লেখাটি স্বার্থক হবে। হিন্দু হয়ে জন্ম নিয়ে যারা হিন্দু সমাজের এসব সমস্যা দুর করতে এগিয়ে আসে না তারা শুধু নামে হিন্দু থাকে লাভ কি? এর চেয়ে হিন্দু হয়ে জন্ম না নিয়ে নর্দমার কীট হয়ে জন্ম নেয়া ভাল। সবাইকে একটা কথা মনে রাখতে হবে এ সমস্যাগুলি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রমের কোন বিকল্প নাই।

চলুন হিংসা হিন্দা ছেরে  জাতপাতের বরাই না করে প্রকৃত সমাজ ও জাতি গঠন করতে এগিয়ে আসি।

হরে কৃষ্ণ।


No comments

Theme images by sndrk. Powered by Blogger.