Header Ads

মাত্র ১০ হাজার টাকায় বুকিং শুরু সবথেকে সস্তার ইলেকট্রিক গাড়ির, মারুতি অল্টো-র থেকেও কম দাম, ফিচার্স দেখে নিন।

মাত্র ১০ হাজার টাকায় বুকিং শুরু সবথেকে সস্তার ইলেকট্রিক গাড়ির, মারুতি অল্টো-র থেকেও কম দাম, ফিচার্স দেখে নিন।



শুধু ভারত নয়। বিশ্বের সবথেকে সস্তার ইলেকট্রিক গাড়ি স্ট্রম আরথ্রি-র বুকিং শুরু হয়েছে। মাত্র ১০,০০০ টাকা খরচ করলেই আপনি গাড়িটি বুক করতে পারবেন।


স্ট্রম আরথ্রি। বিশ্বের সবথেকে কম দামি ইলেকট্রিক গাড়ি।


পেট্রল-ডিজ়েলের দামে গাড়ি নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন আম আদমি। আর সেই কারণে অনেকে বৈদ্যুতিক গাড়ির


প্রতিও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কিন্তু ভারতে এই মুহূর্তে যে হারে ইলেকট্রিক স্কুটার বা বাইক লঞ্চ হচ্ছে, সেই হারে চারচাকা গাড়ি কিন্তু লঞ্চ হচ্ছে না। থাকলেও রয়েছে গুটিকয়েক, তাদের আবার এমনই চড়া দাম যে, তার চেয়ে পেট্রল-ডিজ়েলের খরচই ঢের ভাল। তবে ভারতে এমনই একটি ইলেকট্রিক চার চাকা গাড়ি রয়েছে, যা আপনি মারুতি অল্টো-র থেকেও কম দামে পেয়ে যেতে পারেন। হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিকই শুনছেন। আর সেই গাড়িটি তৈরি করেছে স্ট্রম মোটরস (Strom Motors) নামক একটি স্টার্টআপ সংস্থা। এই ইলেট্রিক ভেহিকল আপনার জন্য অত্যন্ত মানানসই, দু'জন তাতে বসতে পারবেন এবং দুটি দরজা রয়েছে। গাড়িটির নাম স্ট্রম আরথ্রি (Strom R3)। ইতিমধ্যেই সেই স্ট্রম আরথ্রি গাড়িটির বুকিও শুরু হয়ে গিয়েছে। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, গাড়িটি এর মধ্যেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তার কারণ হল, ৭.৫ কোটি টাকার বুকিং হয়েছে খুব অল্প সময়ে।


মুম্বইয়ের স্টার্টআপ সংস্থা স্ট্রম মোটরস দাবি করছে যে, তারাই বিশ্বের সবথেকে সস্তার বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করেছে, যার দাম মাত্র ৪.৫ লাখ টাকা। মাত্র ১০,০০০ টাকা খরচ হবে এই স্ট্রম আরথ্রি গাড়িটি বুক করতে। মোট তিনটি ভ্যারিয়েন্টে এই গাড়ি উপলব্ধ করা হচ্ছে। এই ইভিতে থাকছে একটি বড় সানরুফ এবং এক বার চার্জ দিলেই এটি ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌড়তে পারবে। প্রাথমিক ভাবে এই গাড়িটি দিল্লি এবং মুম্বইয়ের মানুষজনের জন্য ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, মুম্বই, থানে, নভি মুম্বই, নয়াদিল্লি, গুরুগ্রাম এবং নয়ডার গ্রাহকরা বর্তমানে এই ইভি কিনতে পারবেন। তিন চাকার এই ইলেকট্রিক গাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

দুই দরজার এই গাড়িতে বসতে পারবেন দুই জন। গাড়ির বুটের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ৩০০ লিটার পর্যন্ত। তবে সামনের দিকে রয়েছে একটি স্টোরেজ স্পেস, যার স্টোরেজ আবার সামগ্রিক কার্গো ভলিউমের থেকে ৪০০ লিটার। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, বড় হ্যাচব্যাক হন্ডা জ্যাজ়-এর মতো গাড়িতেও ছিল ৩৫৪ লিটারের কার্গো ভলিউম।

স্ট্রম মোটরস-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দিতে পারবে এই ইলেকট্রিক গাড়ি। ৪৮ ভোল্টের ইলেকট্রিক সিস্টেমে গাড়িটি ছুটবে ও তার সঙ্গে এমন ইলেকট্রিক মোটর রয়েছে যা ১৫ কিলোওয়াট পাওয়ার এবং ৯০এনএম টর্ক দিতে প্রস্তুত। এই গাড়ির আরও দুটি ভার্সন থাকছে, যারা যথাক্রমে ১২০ কিলোমিটার ও ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দিতে পারবে। তবে বুকিং শুরু হয়েছে কেবল মাত্র ২০০ কিলোমিটার ভার্সনেরই। গাড়ির ব্যাটারি চার্জ হতে মাত্র ৩ ঘণ্টা সময় নেবে। কিন্তু অন-বোর্ড চার্জারের ভোল্টেজ স্পেসিফিকেশনস সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।


একাধিক আকর্ষণীয় ফিচার্স রয়েছে এই গাড়িতে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, কিলেস এন্ট্রি, পাওয়ার উইন্ডো, ডিজিটাল ড্রাইভার্স ডিসপ্লে, একটি ৭ ইঞ্চির ইনফোটেনমেন্ট টাচস্ক্রিন, ভয়েস অ্যান্ড জেসচার কমান্ড, ক্লাইমেট কন্ট্রোল এবং জিপিএস নেভিগেশন। গাড়ির ড্যাশবোর্ড লেআউট সুন্দর দেখতে এবং তা এমনই তাক লাগানো ফিচার্সে সমৃদ্ধ যে, পেট্রল-ডিজ়েল গাড়ির মতোই মনে হবে।


এই মুহূর্তে স্ট্রম মোটরস এমনই আকর্ষণীয় আরও কিছু প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে, যেগুলি ভবিষ্যতে এই আরথ্রি গাড়িতে পাঠানো হবে। তার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল, পার্কিং অ্যাসিস্ট। তবে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে, এই পার্কিং অ্যাসিস্টে ক্যামেরা-নির্ভর গাইডেন্স সিস্টেম নাকি একটি অটোনমাস পার্কিং সিস্টেম দেওয়া হচ্ছে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হল, অটোমেটিক ভেহিকল ফলোয়িং সিস্টেম বা এভিএফএস, যা একটি অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ় কন্ট্রোল সিস্টেম হতে চলেছে।

No comments

Theme images by sndrk. Powered by Blogger.