মহিলা বিশ্বকাপ 2022 : বাংলাদেশ ভারতের কাছে হেরেছে।

মহিলা বিশ্বকাপ 2022 : বাংলাদেশ ভারতের কাছে হেরেছে। 

মহিলা বিশ্বকাপ 2022 : বাংলাদেশ ভারতের কাছে হেরেছে, বিশ্বকাপ ফোকাসের রানডাউনে কোন গ্রুপ এক নম্বরে রয়েছে?

এবার, বিশ্বকাপের মানদণ্ড অনুসারে, সমাবেশের প্রাথমিক চারটি গ্রুপ এলিমিনেশন রাউন্ডে অগ্রসর হবে।

মহিলাদের 50-ওভারের বিশ্বকাপ উল্লেখযোগ্যভাবে আরও গুরুতর ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুক্রবারের চাহিদায় আকস্মিকভাবে চারটি স্পাইকে বাংলাদেশকে পরাস্ত করে অ্যাসোসিয়েশন টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এক ম্যাচ কম খেলার কারণে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে ভারত। যেভাবেই হোক, আগামীকাল (শনিবার) ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারায় অনুমান করে, তারা অ্যাসোসিয়েশনে তাদের অবস্থান পুনরুদ্ধার করবে। যেহেতু ভারতের নেট রান রেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে বেশি।

এবার, বিশ্বকাপের নীতিমালা অনুসারে, সমাবেশের প্রাথমিক চারটি গ্রুপ নির্মূল রাউন্ডে অগ্রসর হবে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে সমাবেশের সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। চার ম্যাচের প্রতিটিতেই জিতেছে দুই গ্রুপ। এলিসা পেরিরা তার নেট রান রেটের কারণে অ্যাসোসিয়েশন টেবিলের সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছেন। পাঁচ ম্যাচে ছয় ফোকাস নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের রয়েছে চারটি। যাই হোক, ভারত এক ম্যাচ কম খেলেছে। সাথে নেট রান রেটও দারুণ। তাই ভারত মূল তিনে থাকবে কিনা তা সত্যিই মিতালি শাসকদের উপর নির্ভর করে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর মিতালি উঠে আসবে তিনে। এদিকে, ভয়াবহ হারের পর অ্যাসোসিয়েশন টেবিলে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের আপডেট

শুক্রবার ৫০ ওভারের মহিলা বিশ্বকাপের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ক্যারিবিয়ানরা শুরুটা ভালোই করেছিল। বিনা উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২৯। তখন স্কোর থাকে দুই উইকেটে ৪০। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে ধস নামে। তিন বলে শূন্য রানে দুই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এভাবে ১৫.১ ওভারে ৪৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যারিবিয়ানরা। বাংলাদেশের স্পিনারদের চক্রে ধরা পড়ায় পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। 60 রানে সাত উইকেট পড়ে যায়।

সেই বিন্দু থেকে, শেমাইন ক্যাম্পবেলের অপরাজিত 53 রানের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিছুটা যুদ্ধ পুঁজি করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেটে ১৪০ রান করে। ১৮ রান করেন ফ্লেচার। দুটি করে উইকেট নেন নাহিদা আক্তার ও সালমা খাতুন।

সেই রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই আঘাত পায় বাংলাদেশ। প্রথম ফিনিশিংয়ে আউট হন বাংলাদেশের শামিনা সুলতানা। এরপর ইনিংস সামলে নেন শারমিন আক্তার ও ফারজানা হক। সে যাই হোক, শারমিনকে মাফ করা হয় ৩০ রানের জন্য। আর সব কিছু বলার পরও বাংলাদেশ দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে, 21.2 ওভারে দুই উইকেটে 60 রান করার পরে, সুলতানরা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। শূন্য রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। 23.2 ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে 60 রান করে বাংলাদেশ।

সেখান থেকে বাংলাদেশের ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নেন প্রধান সুলতানা। তিনি 32.2 ওভারে একটি অসাধারণ সমীক্ষার জন্য ফিরে আসেন। এক বলে আউট হন ফাহিমা খাতুন। সালমা কর্মের সহায়তায় প্রয়োজনীয় দৌড় কমিয়ে চলেছে। তবুও, 44তম ওভারের প্রধান বান্ডিলের সাথে, তার অনুকূল ভাগ্যের অংশ ফুরিয়ে যায়। তিনি 40 বলে 23 রান করেন। তখন বাংলাদেশের জয়ের জন্য ৪১ বলে ৩১ রান প্রয়োজন। জয়ের জন্য জাহানারা আলমকে খুঁজছিল বাংলাদেশ। তবে ১২২ রানের জন্য অজুহাত হন নিপুণ জাহানারা। যিনি বাংলাদেশের ব্যাট হাতে এশিয়া কাপ জিতেছেন।

এক উইকেটের কাছেও নাহিদা আত্মসমর্পণ করেননি। ফারিহা তৃষ্ণা নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। এটা স্পষ্ট যে ফারিহারের ব্যাটিংয়ে তার আস্থার অভাব ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাকে বোলারদের হাত থেকে রক্ষা করছিল। যে পদ্ধতিতে তিনি বিজয়ের আকাঙ্ক্ষাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তবুও, সেই শেষ পর্যন্ত রান কম হচ্ছিল। ৪৯তম ওভারে মাত্র দুই রান। নাহিদা শেষটা শেষ করে একটা ঝগড়া করল। শেষ ম্যাচে জয় পেতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল আট তাড়া। মূল বলটি নেন নাহিদা। ফারিহা টস দুর্দান্ত হয়েছে ধরেই আউট হয়ে যেতেন। পরের বলে আরও একটি থুথু নিলেন নাহিদা। তিনি আউট হতেন অনুমান করে যে তিনি দুই রান নিয়েছেন। তাই সে সব শেষ করতে চায়নি। নিচের বলে শক্তিশালী হয়ে ওঠেন ফারিহা। পরবর্তীকালে, বাংলাদেশ 49.3 ওভারে 136 রানে অলআউট হয় এবং একটি স্মরণীয় জয়ের সুযোগ হারায়